সকলেই চান তার কষ্টার্জিত অর্থের সুরক্ষা ও শ্রীবৃদ্ধি | কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব তা নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মত রয়েছে | প্রচলিত পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে হয়তো বিনিয়োগের ঝুঁকির পরিমান কম থাকে কিন্তু তাতে প্রাপ্ত রিটার্ন মূল্যবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে বিনিয়োগের শ্রীবৃদ্ধি করতে যথেষ্ট নয় | তাই মানুষ সর্বদা নিজ নিজ লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রচলিত সেভিংস, রেকারিং, ফিক্সড, এম.আই.এস, ইন্সুরেন্স প্রভৃতি ছাড়াও অন্য প্রকার বিনিয়োগ উপাদানের সন্ধানের চেষ্টায় সর্বদা সচেষ্ট| পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট জীব হিসাবে মানুষ চায় অন্যের থেকে সব দিক থেকে এগিয়ে থাকতে, অগ্রিম চিন্তা ভাবনার ও আধুনিক চিন্তার সাথে তাল মিলিয়ে বিনিয়োগের শ্রীবৃদ্ধি করতে|কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগের ধারণার বাইরে ট্রেডিং ও অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে কিভাবে নিজের বিনিয়োগের শ্রীবৃদ্ধির করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা সম্ভব আসুন দেখি |
ধনী ও গরিব নির্বিশেষে অর্থ ও সম্পদ প্রকৃতপক্ষেই সকলের কাছেই অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সেন্টিমেন্টাল বিষয় | সকল মানুষই চায় তার সম্পদকে সুরক্ষা প্রদানের সাথে সাথে তার বৃদ্ধি | ধনী, গরিব, দেশ, বিদেশ সকল স্থানেই অর্থ ও সম্পদের সাথে মানুষের ভাবপ্রবণতা প্রখর ভাবে জড়িয়ে , তাই সকল স্থানেই সকলেই চায় সম্পদকে সুষ্ঠ ভাবে সুরক্ষা প্রদান করতে | যেহেতু অর্থ ছাড়া আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রায় অচল তাই ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র বিষয়ের আর্থিক বিশ্লেষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় |
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য বেশ কিছু রাস্তা খোলা আছে আপনি কোন প্রকার বিনিয়োগ করতে চান সেটা সকলের আগে আপনাকে স্থির করতে হবে | সাধারণত দেখা যায় কোনো ব্যক্তির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অথবা প্রভাবিত হয়ে মানুষ শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে ফেলেন | পৃথিবীব্যাপী নিরীক্ষার পর দেখা গেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসাবে শুরুকরা বেশিভাগ মানুষই কোনো ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির আশায় শেয়ার বাজারে নিবেশ করেন | যতক্ষণ উক্ত বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ মুনাফার মুখ দেখছে ততক্ষন কোনো অসুবিধা হয় না কিন্তু যেহেতু এই মার্কেট অত্যন্ত সংবেদহনশীল ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিভিন্ন অর্থণৈতিক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল তাই কোনো প্রকার দোলাচলের সম্মুখীন হলেই উক্ত বিনিয়োগের ঝুঁকির পরিমান বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় তখন বিনিয়োগকৃত পুঁজি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল হয়ে পরে | তাই বিনিয়োগের সুরক্ষার্থে নিজের চাহিদা নির্ণয় করে তার যাচাই করা ও উপযুক্ত পন্থা নিরুপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা একান্তই জরুরি |
আধুনিক বিনিয়োগের উপাদান সমূহ : –
প্রচলিত বিনিয়োগ সংক্রান্ত ধ্যানধারণা বাইরে বেরিয়ে অনেকেই চান এমন কিছু বিনিয়োগের উপাদান সম্পর্কে খোঁজ পেতে যা বাজার চলতি অন্যান্য প্রচলিত সেভিংস, রেকারিং, ফিক্সড, এম.আই.এস, ইন্সুরেন্স অপেক্ষা বেশি রিটার্ন দিতে সক্ষম | আমরা বার বার ইন্সুরেন্সের কথা তুলছি কারণ আপাত দৃষ্টিতে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন এটি একটি উপযুক্ত বিনিয়োগের উপাদান, প্রকৃত পক্ষে যা একেবারেই ঠিক নয় |ইন্সুরেন্স নিয়ে অন্য কোনো ব্লগে আলোচনা করা যাবে | আপনি জানি আপনারা অধীর আগ্রহে বসে আছেন সেই সকল বিনিয়োগের উপাদানের সম্পর্কে জানার জন্য যা প্রচলিত উপাদান অপেক্ষা বেশি রিটার্ন দিতে প্রকৃত পক্ষেই সক্ষম |
* শেয়ার *. বন্ড * মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি হলো বিনিয়োগের আধুনিকতম উপাদান যা সুক্ষ অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করে আপনার বিনিয়োগের রিটার্নকে বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম |
যেহেতু ভারতবর্ষ একটি বহু জাতি ,বর্ণ , ভাষার মানুষের মিলনক্ষেত্র তাই এই উপমহাদেশের মধ্যে ভিন্যের মধ্যে একতা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট | যতই ধর্ম , বর্ণ , খাদ্যাভাস আলাদা হোকনা কেন অর্থ ও তার সংরক্ষণ , বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা সকলেই অত্যন্ত সংবেদনশীল | তাই চলুন দেখি কিভাবে স্মার্টলি আপনার বিনিয়োগকে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকরে বাজার চলতি অন্যান্য উপাদান অপেক্ষা বেশি রিটার্ন আয় করা যায় তার সম্পর্কে আলোচনা করি |
আধুনিক পন্থা অনুসরণ করে কিভাবে শেয়ার মার্কেটে প্রত্যক্ষ ভাবে অথবা অপ্রত্যক্ষ ভাবে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগ রাশির ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করে আর্থিক জমা পুঁজির বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব তা নিয়েই আলোকপাত করবো এই পর্যায়ে |
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের বিভিন্ন প্রকার পন্থা বলা ভালো রাস্তা খোলা আছে সাধারণ মানুষের সামনে | খুব সহজ ও সরল রাস্তা হলো সরাসরি অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ভাবে শেয়ার ক্রয় করা | এছাড়াও যে সকল ব্যবস্থা নিয়ে আমরা এই পর্যায়ে আলোকপাত করবো তা হলো – মিউচুয়াল ফান্ড, PMS এবং ট্রেডিং , বিনিয়োগের সাধারণ ধারণা ও অন লাইন ট্রেডিং , অফ লাইন ট্রেডিং |
শেয়ার ক্রয় করার জন্য কি প্রয়োজন :-
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ভাবেই শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা সম্ভব | প্রত্যক্ষ কথা শুনে আশা করি অবশই বুঝতে পারছেন যে এটি সোর সরি শেয়ারে বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে | এছাড়াও বিভিন্ন একমন অনেক উপাদান উপলব্ধ আছে যা আপনার ধনরাশিকে প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে ও আর্থিক পরিস্থিতি , পরিকাঠামো প্রভৃতির বিচারের সাপেক্ষে উপযুক্ত স্থানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে থাকে |
ডিম্যাট ও ট্রেডিং একাউন্ট ওপেন করিয়ে ও তার সাথে আপনার ট্রেডিং একাউন্ট লিঙ্ক করানোর মাধ্যমে আপনার শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের রাস্তা আপনি শুরু করতে পারেন | যার জন্য আপনাকে অবশ্যই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত কিছু জ্ঞান অর্জন করতে হবে | যথা কিভাবে শেয়ার ক্রয় করতে হবে , ব্রোকারকে ফোন করে ক্রয় ও বিক্রয় সংক্রান্ত অর্ডার প্লেস করা | পে ইন – পে আউট সম্পর্কিত ধারণা অবশ্যই থাকা জরুরি |
এছাড়াও পড়ুন: স্টক মার্কেটের প্রাথমিক গাইড (Stock Market Guide For Beginners in Bengali)
বর্তমানে আধুনিকতার কারণে এবং প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে একজন ট্রেডের ও বিনিয়োগকারীর কাছে সরাসরি শেয়ার ক্রয় ও বিক্রয়ের বিভিন্ন উপায় খুলে গেছে | ফোন করে ব্রোকারের মাধ্যমে ট্রেডিং – বিনিয়োগের সুযোগ তো আছেই , এছাড়াও বর্তমানে একজন বিনিয়োগকরি নিজে নিজের কাজ যাতে সম্পাদন করতে পারেন তার রাস্তাও খোলা আছে ( কম্পিউটার – ট্যাবলেট – মোবাইল ফোন ) ইত্যাদির মাধ্যমেও এখন ট্রেডিং সম্পাদন করা সম্ভব |
কি কি উপায়ে শেয়ার ক্রয় ও বিক্রয়ের রাস্তা খোলা আছে সেটি জানার পর আপনি নিশ্চই ভাবতে বসেছেন কোন শেয়ার কেনা ঠিক, কখন কিভাবে বুঝবেন কোন সরে ক্রয় করলে লেভার প্রবণতা আছে সেটি বুঝবেন কি করে , তাই তো ?
** সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে বেশির ভাগ ব্রেকিং কোম্পানিই তাদের “রিসার্চ টীম” বানায় যারা সাধারণ ইনভেস্টারদের শেয়ার ক্রয় ও বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করে থাকেন |
ট্রেডিং এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে আরো স্পষ্ট ধারণা পেতে নীচের ভিডিও দেখুন:
ট্রেডিং ও বিনিয়োগের পন্থা সমূহ :-
পৃথিবীব্যাপী প্রচলিত অর্থনীতিক বিনিয়োগের কৌশলের নিরিখে দেখতে গেলে বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ বিনিয়োগের কৌশলকে বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বিশেষে সময়ের নিরিখে প্রধানত দুই ভাগে বিভাজিত করেছেন |
১. ট্রেডিং ২. বিনিয়োগ
১. ট্রেডিং : সাধারণভাবে দেখতে গেলে ট্রেডিং হলো খুব স্বল্প সময়ের নিরিখেকৃত ব্যবসা যা শুধুমাত্র দামের অস্থিরতা / চাঞ্চল্যতাকে ( সবলতা ও দুর্বলতাকে) অনুসরণ করে করা হয় | কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে কয়েক দিন পর্যন্ত এর মেয়াদসীমা হতে পারে |
২. বিনিয়োগ : সাধারণত দেখতে গেলে ট্রেডিং অপেক্ষা বেশি সময়ের যেকোনো প্রকার নিবেশকেই বিনিয়োগের আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে | প্রকৃত পক্ষে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে জমা অর্থ রাশির বিনিয়োগ করে ধীরে ধীরে সবল ও স্থিতিশীল বৃদ্ধির আদর্শ কৌশল হিসাবে বিনিয়োগের জুড়ি মেলা ভার |
অনেকের মনে হতেই পারে এই ট্রেডিং ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষান্ত নেওয়া অত্যন্ত সহজ কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা একেবারেই নয় | হ্যা এটা ঠিক যে আপনি যদি এই বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করেন তাহলে এই প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ আপনার ক্ষেত্রে অনেকটা সহজ হয়ে যাবে |
** কেন জ্ঞান অর্জনের কথা বলছি এটা যদি ভেবে থাকেন তাহলে আরো একধাপ এগিয়ে এটুকু ভাবুন —
* আপনি যখন প্রথম সাইকেল / স্কুটার / বাইক / কার চালাতে বসেন তখন অস্বীকার্য্য ভাবে আপনার কোনো না কোনো প্রকার পরিচালকের অবশই প্রয়োজন হয়েছিল তাই তো ? যিনি আপনার ভুল সংশোধনের সহজ সহজ উপায় বলে ও বার বার অনুশীলন করিয়ে আপনার এই শিক্ষাটিকে সম্পূর্ণ করেছিলেন |
* এবার আবার ভাবুন আপনি যখন সাইকেল / স্কুটার / বাইক / কার চালাতে শিখেগেছিলেন তখন কি এখনকার মতো সাবলীল ভাবে চালাতে পারতেন ? না তো ? হ্যা বার বার অনুশীলন আপনার মনোবল বাড়িয়েছিল যার কারণে আপনি আজ দক্ষতার সাথে এই কাজ করতে পারেন |
আশাকরি এতক্ষণ এটা বোঝাতে পেরেছি যে কিভাবে শেয়ার ক্রয় করতে হয় |
এছাড়াও প্রত্যক্ষ ভাবে শেয়ারে বিনিয়োগের ওপর পন্থা হলো :
PMS (পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস)
এটি হলো দক্ষ পেশাদার দ্বারা পরিচালিত একপ্রকার ব্যবস্থা যা বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা গ্রহণ করে ব্যারোপযোগী বিনিয়োগ করে উপযুক্ত রিটার্ন দিয়ে থাকে |
যেহেতু এই ব্যবস্থা পেশাদার মানুষদের দ্বারা পরিচালিত হয় তাই বর্তমান ভারতের আর্থিক পরিকাঠামোর নিরিখে SEBI ও ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রকের নজর দাড়িতে থেকে পরিচালিত হওয়া এই ব্যবস্থায় বিনিয়োগের টিকিট সাইজ অনেক বেশি (২৫ লক্ষ্য নূন্যতম টিকিট সাইজ ) |
বাংলায় আর্থিক বাজার সম্পর্কে জানতে: ফিনান্সিয়াল মার্কেট-এর সাথে প্রাথমিক পরিচয় কোর্স এর জন্য নথিভুক্ত করতে পারেন|
পরোক্ষ ভাবে শেয়ারে বিনিয়োগের উপায় :
১. মিউচুয়াল ফান্ড . ২. বন্ড .
১. মিউচুয়াল ফান্ড : মিউচুয়াল ফান্ড হলো এমন এক ব্যবস্থা যা একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে – ইকুইটি স্টক , বন্ড ,কমোডিটি প্রভৃতি উপকরণে একত্র ভাবে বিনিয়োগের সুবিধা প্ৰদান করে , ও তার বৃদ্ধি প্রাপ্ত দামের উপর লভ্যাংশের অংশীদার হতেও সাহায্য করে থাকে | মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা AMC (অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি) রা করে থাকে | এই ব্যবস্থায় যুক্ত সকল AMC (অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি) গুলিকে ভারতীয় আর্থিক বাজারের সর্বময় কর্তা SEBI (সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া)দ্বারা নিবন্ধীকৃত হওয়া বাধ্যতামূলক | এই সকল AMC (অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি) গুলি বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা গ্রহণ ও তার বিনিয়োগ করার লাইসেন্সের অধিকারী হয়ে থাকেন | এই ব্যবস্থায় একজন বিনিয়োগকারীকে লগ্নি সংক্রান্ত কোনো বিশ্লেষণেরই প্রয়োজন থাকেনা | এই সকল দ্বায়িত্ব AMC (অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি) র পক্ষ থেকে তার গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ফান্ড ম্যানেজার ও তার আর্থিক গবেষকগণ করে থাকেন |
এছাড়াও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ড কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে (What is mutual fund and how does it work)
চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বৈচিত্রের মিউচুয়াল ফান্ড আজ বাজারে উপলব্ধ |
* এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড |
* গোল্ড ফান্ড |
* ইকুইটি লিঙ্কড সেভিংস ফান্ড |
* ফিক্সড ইনকাম ফান্ড |
* ডেট ফান্ড |
* গ্রোথ ফান্ড |
* গারান্টেড রিটার্ন ফান্ড |
* হাইব্রিড ফান্ড , প্রভৃতি |
একজন বিনিয়োগকারী তার বর্তমান আয় – ব্যয়ের স্বাপেক্ষে ও ভবিষ্যৎ অর্থিক চাহিদার বিশ্লেষণ করানোর মাধ্যমে বাজারে উপলব্ধ ফান্ডের মধ্যে থেকে তুলনামূলক উপযুক্ত ফান্ড চয়নের সুযোগ পেয়ে থাকেন | এই ব্যবস্থায় এককালীন,মান্থলি,ত্রৈমাসিক,বিভিন্ন ভাবে বিনিয়োগের রাস্তা খোলা আছে | যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ মিউচুয়াল ফান্ড মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদি হয়ে থাকে তাই রিটার্নের সম্ভাবনা অন্যান্য শর্ট টার্ম বিনিয়োগ অপেক্ষা বেশি ও নিরাপদ |
বিভিন্ন বিনিয়োগকারী তার চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত ফান্ড চয়ন করার মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন ও সর্বজনের সম্বলিত অর্থ রাশি ফান্ড ম্যানেজার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিচারের পর বিনিয়োগ করেন| সমগ্র বিনিয়োগকৃত অর্থ রাশিকে AUM (অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট) বলা হয়ে থাকে |একজন ফান্ড ম্যানেজার AUM (অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট) জমা রাশিকে গবেষণার মধ্যে দিয়ে ডাইভার্সিফিকেশন ও সেক্টর বিভাজনের দ্বারা তার ভার বন্টন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে থাকেন | এর পর NAV (নেট অ্যাসেট ভ্যালু) নির্ণয় করে তার পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে উক্ত ফান্ডের সবলতা ও দুর্বলতা বিচার করা হয়ে থাকে |
বাজারের পরিস্থিতি ও ফান্ড ম্যানেজারের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে যদি ফান্ড ভালো পারফর্ম করে তাহলে NAV এর বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায় যার ফলে একজন বিনিয়োগকর্তার বিনিয়োগ রাশিতেও যার প্রভাবের ফলে তাতেও উত্থান নজরে আসে |
বন্ড : বন্ড হলো সরকার ও বিভিন্ন কর্পোরেট দের ঋণ পত্র | যার মাধ্যমে এনারা ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের টাকা সংগ্রহ করে ও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকরে নিবেশককে ভালো পরিমান রিটার্ন দিয়ে থাকে |
উপসংহার:
আশা করি উপরে নিবন্ধটি আপনাকে ট্রেডিং এবং বিনিয়োগের একটি স্পষ্ট ধারণা পেতে সহায়তা করেছে|
আপনাদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
আপনাদের যেকোনো প্রকার জিজ্ঞাস্য ও পরামর্শ আমাদের চলার পথের পাথেয় |
যে কোনো প্রকার জিজ্ঞাস্য ও পরামর্শ থাকলে নিচের কমেন্ট বাক্স এ লিখে পাঠান |
আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট|